ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ , ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বুড়িগঙ্গা যেন ঢাকার ডাস্টবিন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৭১৮৪ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ সৌদি আরবে নথিপত্র না থাকায় অবরুদ্ধ বাংলাদেশি কর্মীরা বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ আজ ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার এগিয়ে নেয়ার তাগিদ বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন-প্রধান বিচারপতি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাসদের আলোচনা বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করা হবে-আইন উপদেষ্টা গাজীপুরে বাটা শোরুমে লুটপাট যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবরা ভূমিকা রাখুন-ধর্ম উপদেষ্টা মার্চে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৩৩ রিমান্ড শেষে কারাগারে তুরিন আফরোজ মেঘনা আলমের মুক্তি ও বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি মারধরের ভয়ে স্ত্রীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে থানায় স্বামী চট্টগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আটক ১ মোহাম্মদপুর থেকে দুই ডাকাত গ্রেফতার : র‌্যাব চাঁদপুরের সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু হান্নান বাহিনীর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ইয়াঙ্গুনে নৌবাহিনীর জাহাজ বোরকা না পরায় নারী ইউএনওকে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়ার নিন্দা দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

মার্চে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৩৩

  • আপলোড সময় : ১৩-০৪-২০২৫ ০২:২৭:১৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৪-২০২৫ ০২:২৭:১৭ অপরাহ্ন
মার্চে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৩৩
চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের সড়কে ৫৮৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬০৪ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ২৩১ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৮৯ জন ও শিশু ৯৭ জন। গতকাল শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তাদের পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের সই করা প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক মাসেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৩৩ জন, যা মোট প্রাণহানির ৩৮.৫৭ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৯ জন (১৮.০৪ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক ও সহকারী ৯৮ জন (১৬.২২ শতাংশ)। মার্চ মাসে ছয়টি নৌদুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪ জন। পাশাপাশি ১৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন এবং আহত হয়েছেন চারজন। সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে। এর সংখ্যা ২৩৩ জন। এরপর থ্রি হুইলার যাত্রী ১১৯ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রলির আরোহী ৫৬ জন, বাসযাত্রী ৩২ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-জিপ আরোহী ১৭ জন, স্থানীয় যানবাহনের যাত্রী ২৭ জন এবং বাইসাইকেল বা রিকশা আরোহী ১১ জন। তথ্য অনুযায়ী জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২২৮টি (৩৮.৮৪ শতাংশ), আঞ্চলিক সড়কে ২৫৬টি (৪৩.৬১শতাংশ), গ্রামীণ সড়কে ৭২টি এবং শহরের সড়কে ৩১টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেখা গেছে, ১৮২টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৮৪ জন। সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে কম। সেখানে ২৪টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আর একক জেলা হিসেবে বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন ৩২ জন। অন্যদিকে মার্চ মাসে নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পেশার মানুষও রয়েছেন ১২ জন শিক্ষক, তিনজন সাংবাদিক, সাতজন ব্যাংক-বিমা কর্মকর্তা, ২১ জন বিক্রয় প্রতিনিধি, আটজন পোশাক শ্রমিক, ৭২ জন শিক্ষার্থী, এবং ১৭ জন স্থানীয় রাজনীতিক নেতাসহ আরও অনেকে। প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রধান কারণ উল্লেখ করে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক সমস্যা, ট্রাফিক আইনের অজ্ঞতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং চাঁদাবাজি। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশ দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষ চালক তৈরি, চালকের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রেল ও নৌপথ সংস্কারের কথা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স